দুই দশকের বেশি সময় আগে নেপালের বিমান সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইনসের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে সংস্থাটির মালিকানাধীন ছয়টি এটিআর উড়োজাহাজ আছে। গতকাল রোববার নেপালের পোখারায় অবতরণের আগমুহূর্তে বিমান সংস্থাটির একটি উড়োজাহাজ ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমান সংস্থাটি নিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালের বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান সংস্থাটির ফ্লাইট চলাচল করে থাকে। কোম্পানিটি শুধু এটিআর-৭২-৫০০ এস উড়োজাহাজ পরিচালনা করে থাকে। প্রতিটি উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা ৭০টি করে।
কানাডা নির্মিত একটি ডিএইচসি৬ টুয়িন অটার উড়োজাহাজ দিয়ে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইয়েতি এয়ারলাইনস বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করেছিল।
ফ্লাইট চলাচল পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ বলছে, গতকাল যে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটির বয়স ১৫ বছর। এটির নিবন্ধন নম্বর ৯ এন-এএনসি। ক্রমিক নম্বর ৭৫৪।
ইয়েতি এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান তারা এয়ার-এর যাত্রা শুরু হয়। উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য ছোট রানওয়ে প্রয়োজন হয় এমন উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে এ কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এ কোম্পানিটি ডিএইচসি৬-৩০০ এবং ডোর্নিয়ার ডিও২২৮ উড়োজাহাজ পরিচালনা করত। তখন থেকে এ দুটি বিমান সংস্থা মিলে নেপালজুড়ে সর্বোচ্চসংখ্যক রুটে বিমান পরিচালনা করে আসছে।
রোববার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোক জানিয়ে আজ ১৬ জানুয়ারি ইয়েতি এয়ারলাইনস সব ফ্লাইট চলাচল বাতিল করেছে। তবে জরুরি সেবা ও উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটগুলো চলছে।