পরিবারিক ঐতিহ্যবাহী গয়নায় কনে সেজেছিলেন রাধিকা মার্চেন্ট। এই গয়নাগুলো নানির কাছ থেকে তাঁর মা বিয়েতে পেয়েছিলেন। চার বছর আগে রাধিকার ছোট বোন অঞ্জলি মার্চেন্টও তাঁর বিয়েতে এই গয়নাগুলো পরেছিলেন। এবার রাধিকা। তিনি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে রাধিকা আম্বানি।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন আম্বানিবাড়ির নতুন বউয়ের সাজ দেখবেন বলে। যে বিয়ে নিয়ে কয়েক মাসের নানা আয়োজন, গতকাল তা পূর্ণতা পেল। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আসর বসেছিল ভারতের মুম্বাইয়ে। অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিশ্বের বিনোদন জগতের বড় বড় তারকা, প্রভাশালী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা।
বিয়েতে পিঁড়িতে রাধিকার পরনে ছিল ডিজাইনার আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার নকশা করা লাল–সাদা রঙের লেহেঙ্গা আর গয়নার মধ্যে ছিল নানি ও মায়ের কাছ থেকে পাওয়া গলার নেকলেস। আরও ছিল ছোট বোনের কানের দুল, টিকলি ও হাতফুল। এগুলোর পাশাপাশি রাধিকা আরও পরেছিল হীরা ও পান্নার নজরকাড়া নেকলেস, কড়া, চুড়ি এবং কালিরাস।
গুজরাটি বিয়েতে কনের পোশাকের ঐতিহ্য মেনেই রাধিকার পোশাকের রঙ বাছাই করা হয়। লাল–সাদা রঙের লেহেঙ্গায় কনে রাধিকা এদিন সবার নজর কেড়েছিলেন। আইভরি রঙের লেহেঙ্গাটিতে ছিল চমৎকার কাট-ওয়ার্ক জারদৌজি কাজ। লেহেঙ্গায় ছিল লাল রঙের তিনটি গ্লিটার বর্ডার। এ ছাড়া স্টোন, সিকুইন, টাম্বা টিক্কি এবং লাল রেশমের কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ফ্লোরাল বুটি আর পাঁচ মিটারের লম্বা ঘোমটায় ছির জালি কাটওয়ার্ক। এর সঙ্গে আলাদা করে একটা এমব্রয়ডারি করা লাল ওড়না হাতের একপাশ দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটা নাটকীয় ঢঙে।