৯ বছর পর মোল্লা ওমরের দাফনের স্থান জানা গেল

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কবরস্থান
ছবি: এএফপি

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের দাফনের স্থানটি ৯ বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছিল। গতকাল রোববার তা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর এএফপির

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হয়। তালেবান ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর মোল্লা ওমরের স্বাস্থ্য ও তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তালেবান প্রথম স্বীকার করে, মোল্লা ওমর দুই বছর আগে মারা গেছেন।

মোল্লা ওমরের মৃত্যুর কথা তালেবান স্বীকার করলেও তাঁর দাফনের স্থান তারা গোপন রাখে। গতকাল তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের দাফনের স্থান প্রকাশ করেন।

গতকাল জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এএফপিকে বলেন, মোল্লা ওমরের কবরস্থান আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশের সুরি জেলার ওমরজোর কাছে অবস্থিত। তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতারা গতকাল দিনের শুরুর দিকে মোল্লা ওমরের কবরস্থানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

২০ বছরের দখলদারি শেষে গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তান ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ত্যাগের প্রাক্কালে দেশটির ক্ষমতা আবার তালেবানের হাতে যায়। পরে তারা সরকার গঠন করে।

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, যেহেতু তালেবানের অনেক শত্রু ছিল, দেশটি দখল করা হয়েছিল, তাই মোল্লা ওমরের সমাধির ক্ষতি এড়াতে এ-সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল।

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘শুধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরাই জায়গাটি সম্পর্কে অবগত ছিলেন।’

তালেবান কর্মকর্তারা মোল্লা ওমরের কবরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবিতে দেখা যায়, তালেবান নেতারা সাদা ইট দিয়ে বাঁধাই করা একটি কবরের চারপাশে জড়ো হয়েছেন। কবরের ওপর নুড়ি ছড়ানো রয়েছে। কবরটির চারপাশ ও ওপরের দিকে রয়েছে ধাতবের বেড়া।

মোল্লা ওমর যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৫৫ বছর। তিনি ১৯৯৩ সালে তালেবান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে তালেবান ইসলামিক শাসনের একটি অত্যন্ত কঠোর সংস্করণ চালু করে।