দেশের পূর্ব উপকূলে স্বল্পপাল্লার আটটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ রোববার দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সেনামহড়া শেষ হওয়ার এক দিনের মাথায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। চার বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো এ দ্বিপক্ষীয় মহড়ায় এক লাখ টন ওজনের পরমাণু পরিচালিত একটি মার্কিন বিমান অংশ নিয়েছিল।
এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নোবুয়ো কিশি বলেন, উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সহ্য করা যায় না।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান জেমস মার্টিন সেন্টার ফর ননপ্রলিফারেশন স্টাডিজের (সিএনএস) বিশেষজ্ঞ মাইকেল ডুইটসম্যান বলেন, এযাবৎকালে উত্তর কোরিয়ার একযোগে চালানো সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এটি। একসঙ্গে এত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মধ্য দিয়ে যতটা না নতুন প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সামরিক মহড়া কিংবা শক্তিমত্তা প্রদর্শন করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া–সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি সুং কিম দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে যাওয়ার এক দিনের মাথায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা দিতে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় উত্তর কোরিয়া বেশ কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও (আইসিবিএম) আছে।
উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি চালিয়েছিল গত ২৫ মে। এদিন তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তারা। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথমটি উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় আইসিবিএম হোয়াসং-১৭।
দ্বিতীয়টির ধরন জানা যায়নি এবং এটি মাঝপথে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। আর তৃতীয়টি ছিল স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসআরবিএম)।