উড়োজাহাজের সাতজন ক্রুর মধ্যে বেশির ভাগই সৌদি নারী
উড়োজাহাজের সাতজন ক্রুর মধ্যে বেশির ভাগই সৌদি নারী

সৌদি আরবে সব নারী ক্রু নিয়ে উড়ল প্রথম ফ্লাইট

সৌদি আরবে এই প্রথম সব নারী ক্রু নিয়ে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। রক্ষণশীল দেশটিতে এ ঘটনাকে নারীর ক্ষমতায়নের মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

সৌদি আরবে স্বল্প মূল্যের এয়ারলাইন ফ্লাইডেল ওই ফ্লাইট পরিচালনা করে। ফ্লাইটটি গতকাল রাজধানী রিয়াদ থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হয়। ফ্লাইডেলের মুখপাত্র ইমাদ ইসকানদারানি বলেন, ওই উড়োজাহাজের সাতজন ক্রুর মধ্যে বেশির ভাগই সৌদি নারী। ক্রুদের মধ্যে ফার্স্ট অফিসার সৌদি নারী। তবে ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন বিদেশি একজন নারী।

সৌদি আরবের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উড়োজাহাজ পরিচালনায় নারীদের ভূমিকা আরও জোরালো করার কথা বলেছে। ২০১৯ সালে ফ্লাইডেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, এটিই প্রথম ফ্লাইট যেখানে একজন সৌদি নারী কো–পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সৌদি কর্মকর্তারা অ্যাভিয়েশন খাতের উন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যাতে দেশটি বৈশ্বিক ভ্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়।

সৌদি আরবের সিভিল অ্যাভিয়েশন ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৩৩ কোটি যাত্রীর যাত্রা নিশ্চিত করতে চায়। এ সময়ের মধ্যে বিমান খাতে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি অ্যাভিয়েশনের। এ ছাড়া রিয়াদে মেগা বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিবছর ৫০ লাখ টন কার্গো স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি অ্যাভিয়েশনের।

তবে সৌদিভিত্তিক এয়ারলাইনসগুলো এমিরেটস ও কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে শিল্প বিশ্লেষকদের আশঙ্কা রয়েছে।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গাড়ি চালনায় নারীদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাইরে বের হওয়াসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন।