সৌদি আরবে শাস্তি হিসেবে চাবুক মারা বন্ধ হতে যাচ্ছে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নথিতে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
সৌদির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অপরাধের শাস্তি হিসেবে চাবুকের পরিবর্তে জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড, এমনকি কমিউনিটি সেবার মতো বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারবেন বিচারক।
সৌদি আরবে অপরাধের শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে চাবুক মারা, হাত কেটে নেওয়া, শিরোচ্ছেদের মতো মধ্যযুগীয় প্রথা এখনো চালু রয়েছে। এমন সব শাস্তির বিধান নিয়ে বহু দিন ধরে সৌদির সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সৌদির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মানবাধিকার সংক্রান্ত যে সংস্কার এনেছেন, তার অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে চাবুক মারার শাস্তি উঠে যাচ্ছে।
সৌদির সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য করার প্রচেষ্টা হিসেবে সবশেষ সংস্কারটি (চাবুক মারা বন্ধ) আনা হয়েছে।
সৌদির আদালত বিবাহবহির্ভূত যৌনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে চাবুক মারার আদেশ দিতে পারেন। এখন এই শাস্তি উঠে যাবে।
বাদশা সালমান তাঁর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণার পর থেকে সৌদি আরবে সংস্কারমূলক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে বিস্তর মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুবরাজের ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।