ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে স্বীকার করেছেন, তাঁর পুরো দেশ দুর্নীতিতে জর্জরিত। তিনি আজ মঙ্গলবার দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়কে দেশটির সমস্ত সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালে দুতার্তে দুর্নীতি, অপরাধ ও অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রেসিডেন্ট পদে জিতেছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রশাসন ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে। তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে জেল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় বিমাকারী, অভিবাসন, বিমানবন্দর ও শুল্ক, পুলিশ এবং মাদক প্রয়োগকারী সংস্থার মতো সব রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। এসব দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজনের সাজা হয়েছে। উচ্চপদস্থ অনেককে পদ ছাড়তে হয়েছে।
দুতার্তের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিচার মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে তাঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর অসংগতি দেখতে হবে। এতে কোন অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং কোন সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে দুতার্তে বলেন, এ দেশ দুর্নীতিতে জর্জরিত। এখন পর্যন্ত এটি দুর্বল হয়নি। এটি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি তাঁর মেয়াদের বাকিটা সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে দুর্নীতির তালিকায় ফিলিপাইন ১১৩তম। গত বছরের তুলনায় ১৪ ধাপ অবনতি হয়েছে দেশটির র্যাঙ্কিংয়ে।
দেশটির বিচারমন্ত্রী মেনার্ডো গুয়েভারা বলেছেন, দুর্নীতি দমনে সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করবে তাঁর মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের সাহায্য চান।