শ্রীলঙ্কায় উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশে মসজিদ ও মুসলিমদের মালিকানাধীন দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সহিংসতায় নিহত হয়েছেন একজন। বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি বা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে।
দেশব্যাপী রাতভর চলা কারফিউ আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের কারফিউ বহাল থাকবে।
গত ২১ এপ্রিল খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে মুসলিমদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক বার্তায় পুলিশপ্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবেন তাঁর কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে গতকাল সোমবার সকালে জনগণকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে গত মাসের হামলার তদন্ত কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, দেশটির রাজধানী কলম্বোর উত্তরের জেলায় বিশৃঙ্খলা চলছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কিনিয়ামার একটি মসজিদের দরজা, জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা পুত্তালামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আমির মোহাম্মদ সালি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
হেত্তিপোলা শহরেও নানা রকম বিশৃঙ্খলার ঘটছে। শহরটির অন্তত তিনটি দোকানে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা শিরাল লাকথিলাকা বিবিসিকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’। সরকারপক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জনগণকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। অস্থিতিশীলতাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গুজব যাতে না ছড়ায়, সে জন্য কর্মকর্তারা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মেসেজিং অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছেন।