শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন দল শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) বাসিল রাজাপক্ষে কাল শুক্রবারের মধ্যে তাঁর সংসদীয় আসন থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানেন, এমন একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্র ডেইলি মিররের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
বাসিল রাজাপক্ষের এক ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষে এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট। আর এক ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনের মুখে তিনি সরে যান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, তিনি আর দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করবেন না। এ ছাড়া পার্লামেন্টে যে সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বেশ কমানো হচ্ছে। ফলে গোতাবায়া দায়িত্বে থাকলেও তেমন ক্ষমতা পাচ্ছেন না। আর পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া মাহিন্দারও রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা কার্যত আর নেই।
মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদীয় আসন থেকে পদত্যাগ করলেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবেন বলে দলের সদস্যদের জানিয়েছেন বাসিল রাজাপক্ষে। সূত্র জানিয়েছে, বাসিল রাজাপক্ষে আগামীকাল শুক্রবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখান থেকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে জানাচ্ছে মিরর।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির সংবিধানের ২১তম সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা তাঁর এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবটি এখন পার্লামেন্টে তোলার জন্য প্রস্তুত। সংবিধান সংশোধনে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, এমন কেউ আইনপ্রণেতা হতে পারবেন না। বাসিল রাজাপক্ষে মার্কিন নাগরিকও।
বাসিল রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই। বাসিল একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সংবিধান সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর তোলা প্রস্তাব ঠেকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পদত্যাগ ছাড়া তাঁর কোনো উপায় ছিল না।
সূত্র জানিয়েছে, বিজনেস টাইকুন ধাম্মিকা পেরেরা অথবা এসএলপিপির কলম্বো ডিস্ট্রিক্টের সংগঠক রেনুকা পেরেরা বাসিল রাজাপক্ষের আসনটি পেতে পারেন।