জনগণের মৌলিক অধিকারে শ্রদ্ধা দেখালে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দিলে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।
আফগানিস্তানে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফেরা তালেবানের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে কাজ করার ও ভবিষ্যৎ আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আগ্রহের কথা জানান। দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেছেন, তালেবান তাদের দেশের জনগণ—নির্দিষ্ট করে বললে নারী ও কিশোরীদের মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালে এবং দেশে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দিলে তাদের (তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের) সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘ভবিষ্যৎ আফগান সরকার তার জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখলে ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দিলে তার সঙ্গে আমরা কাজ করতে পারি এবং সরকারকে স্বীকৃতি দিতে পারি।’ তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন স্বীকৃতি দেবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিপরীতে, যে সরকার তা করবে না, নারী ও কিশোরীসহ তার জনগণের মৌলিক অধিকার তুলে ধরবে না...সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেবে...যুক্তরাষ্ট্রকে ফন্দি আঁটবে...তার ক্ষেত্রে এটি হবে না।’
তালেবানের কখনো যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা এবং সমর্থন প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে, এমন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় সাক্ষাৎকারে। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন, তারা আফগান জনগণের মৌলিক অধিকার বজায় না রাখলে এবং যারা যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে পারে, সেই সন্ত্রাসীদের সমর্থন ও আশ্রয় দিলে এখনই এর কোনোটা দেওয়া হবে না, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে না, তারা ভ্রমণের (যুক্তরাষ্ট্রে) সুযোগ পাবে না।
খবরে বলা হয়, তালেবানকে স্বীকৃতি প্রদান ও তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহের তালিকার এক বড় অংশ হলো আফগান সংকটের একটি সমঝোতামূলক, শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক মিটমাটের বিষয়টি। পাশাপাশি আছে জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়।
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দোহায় তালেবান ও আফগান সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা জানান, সামরিক শক্তি খাটিয়ে ক্ষমতায় আসা কোনো সরকারকে কোনো দেশ স্বীকৃতি দেবে না।