রাতে সামরিক কুচকাওয়াজ, বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন উত্তর কোরিয়ার

সামরিক কুচকাওয়াজে ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেসিএনএর ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি
এএফপি

রাতে অনুষ্ঠিত বিরল এক সামরিক কুচকাওয়াজে বিশাল আকৃতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি বিশ্বের বৃহৎ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটি। বিবিসি ও সিএনএনের খবরে এ কথা বলা হয়

সিএনএনের খবরে বলা হয়, বিশাল আকারের ক্ষেপণাস্ত্রটি আনা হয় ১১ জোড়া চাকার ট্রাকে করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত নয়।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশটির নেতা কিম জং–উন।

ছবিতে দেখা যায়, ধূসর রঙের পশ্চিমা–ধাঁচের পোশাক পরা কিম শিশুদের কাছ থেকে ফুলের তোড়া নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘নিজ দেশের প্রতিরক্ষার’ খাতিরে দেশের সামরিক শক্তি ‘শক্তিশালী’ করা অব্যাহত থাকবে।

এএফপির খবরে বলা হয়, অনুষ্ঠানে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কারও মুখে মাস্ক ছিল না। অন্য সময় সামরিক কুচকাওয়াজে যত মানুষ উপস্থিত থাকেন, এবার সেই সংখ্যাও ছিল অনেক কম।

উত্তর কোরিয়া সাধারণত তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করতেই কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে। তবে গত দুই বছরে এটি দেশটির প্রথম সামরিক কুচকাওয়াজ।

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের মধ্যকার প্রথম বৈঠকের পর থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেনি উত্তর কোরিয়া। এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করল দেশটি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শনিবার ভোরের আগে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ আয়োজন। তবে কুচকাওয়াজের জন্য কেন এ সময় বেছে নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। অনুষ্ঠানে কোনো বিদেশি গণমাধ্যম বা বিদেশিদের অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল না। তাই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সম্পাদিত ছবির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে বিশেষজ্ঞদের।