রাজপুত্র উপাধি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জর্ডানের প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন। তিনি বলেছেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিক পদ্ধতির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ধ্যানধারণার সংগতি নেই। গত রোববার টুইটার পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসির।
প্রিন্স হামজা জর্ডানের প্রয়াত বাদশাহ হুসেইনের চতুর্থ ছেলে এবং বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎভাই। দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অসংগতি ও হয়রানির অভিযোগ তোলার পর গত বছর থেকে গৃহবন্দী রাখা হয় হামজাকে।
মার্চে জর্ডান কর্তৃপক্ষ হামজার স্বাক্ষরযুক্ত একটি ক্ষমার আবেদন প্রকাশ করে। বলা হয়, সৎভাই বাদশাহ আবদুল্লাহর কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
রোববার টুইটারে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামজা বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমি যা কিছু দেখেছি, তার ভিত্তিতে বলতে পারি, যে প্রত্যয়গুলো ধারণে বাবা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং যা আমি কঠোরভাবে মেনে চলার চেষ্টা করেছি, তার সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিক পদ্ধতি ও চিন্তাধারার সংগতি নেই।’
হামজা আরও লিখেছেন, ‘খোদা ও বিবেকের কাছে সৎ থাকার জায়গা থেকে যখন ভাবি, তখন রাজপুত্র উপাধি বাদ দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখি না। জীবনের এতগুলো বছর ধরে আমি আমার প্রিয় দেশ ও প্রিয় মানুষদের সেবা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সব সময়ের মতো আজীবন আমি প্রিয় জর্ডানের প্রতি অনুগত থাকব।’
প্রয়াত বাদশাহ হুসেইনের খুব প্রিয় ছিলেন হামজা। ১৯৯৯ সালে তাঁকে যুবরাজ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বাদশাহ হুসেইনের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসার মতো যথেষ্ট বয়স তাঁর ছিল না। এমন অবস্থায় তাঁর সৎ ভাই আবদুল্লাহ সিংহাসনে বসেন। ২০০৪ সালে হামজার কাছ থেকে যুবরাজ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়।