যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে ফিরবে না ইরান। ইস্তাম্বুলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগ্লুর সঙ্গে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন বলছে, ২০১৫ সালের জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ অ্যাকশন প্ল্যান (জেসিপিওএ) চুক্তি মেনে ইরান যদি আগের অবস্থায় ফিরে যায়, তবে ওয়াশিংটন এই চুক্তিতে ফিরবে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি বাস্তবসম্মত নয়, আর এটা হবেও না। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে ইরান চুক্তিতে ফিরবে না।
জাভেদ জারিফ বলেন, চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তার বাধ্যবাধকতাগুলো মানলে ইরানও চুক্তির ধারাগুলোতে ফিরে আসবে।
২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে জেসিপিওএ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন। এরপর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতে ইরান ভূগর্ভস্থ ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করে।
গত মাসে ইরানের পার্লামেন্ট একটি আইন পাস হয়। এতে বলা হয়, দুই মাসের মধ্যে যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়, তাহলে পারমাণবিক কার্যক্রম শক্তিশালী করবে। ইরান বলছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে, তাহলে তারা চুক্তির শর্তমতো দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে জাভেদ জারিফ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ করে, আমরাও করব।’
রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জারিফ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার নিষেধাজ্ঞায় আসক্ত...এটা বিশ্বের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’