সৌদি আরবের নারী অধিকারকর্মী লুজাইন আল হাতলুল তিন বছর জেলে কাটানোর পর মুক্তি পেলেও সৌদি কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর পাঁচ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তিনি বর্তমানে সৌদি মরুভূমির একটি শিবিরে রয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আলোকচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে হাসিমুখে লুজাইনকে একটি খাবার টেবিলের পাশে দেখা গেছে। তবে ওই স্থান কোথায়, তা বলা হয়নি।
রিয়াদের এক বিচারকের অনুমোদনের পর সম্প্রতি কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। হাতলুলের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁকে পাঁচ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাঁর কারাদণ্ড পুনর্বহাল করা হতে পারে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার পক্ষে আন্দোলন করেছিলেন লুজাইন আল হাতলুল। দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার লুজাইনের আন্দোলনের ফলে ২০১৮ সালে সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার মেলে। কিন্তু ওই বছরের মে মাসে কয়েক ডজন নারী অধিকারকর্মীর সঙ্গে তাঁকে আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সৌদি আরবের নানা সমালোচনা হয়।
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট মার্কিন চাপে সম্প্রতি হাতলুল ও দুজন সৌদি-আমরিকান নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এসব মুক্তির ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে পরিবারসহ কেউ দেশের বাইরে যেতে পারবে না।
হাতলুলের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁর মুক্তি একেবারে শর্তহীন নয়। তাঁকে পাঁচ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আবার কারাদণ্ড হতে পারে। সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।