নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলকারী মিয়ানমারের জান্তা সরকার আরও বেশি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে আবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী শুক্রবার এ বৈঠক আহ্বান করেছে যুক্তরাজ্য।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর দমন–পীড়ন জোরদার হতে থাকায় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে বলে এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। গ্রেপ্তার করা হয় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে।
সামরিক অভ্যুত্থানের এক দিন পর দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়। তবে পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। এই অবস্থায় মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা বাড়তে থাকায় আবার ডাকা হলো নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক।
মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবারও দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কালেতে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এর বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ করে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে গত রোববার ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। জাতিসংঘ বলেছে, শহরগুলোতে বিক্ষোভের সময় সেনা ও পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারান ওই দিন। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন ২১ জন। আটক করা হয়েছে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।