মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির মধ্য শহর মিয়াইংয়ে এ ঘটনা ঘটে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মিয়াইং হাসপাতালে থাকা ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। আরেক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় আছেন। তিনি বেঁচে আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে শহরটিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। গ্রেপ্তার করা হয় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে তাঁদের নামে।
এরপর থেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে মিয়ানমারের জনগণ।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই হাজারজন।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সেনাবাহিনীকে সংযমী হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে চীন ও রাশিয়ার আপত্তির মুখে দেশটিতে সেনা-অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাতে আবারও ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।
এর আগে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও রাশিয়া ও চীনের আপত্তির মুখে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ। ঘটনাগুলোকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করে দেশ দুটি।