তাইওয়ানে দুই দিনের সফরের গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় আইনপ্রণেতা। তাঁরা দেখা করেছেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে। ঠিক একই সময়ে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এ সফরকে ‘উসকানিমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। খবর আল-জাজিরার।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। তাই এর নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাইওয়ানকে সমর্থন দিয়ে ও অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন রিপাবলিকান দলের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও ডেমোক্রেট দলের সিনেটর বব মেনেনডেজ। গতকাল শুক্রবার সকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।
সেদিনই রাজধানী তাইপেতে একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। একই সময়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে চীনা সেনাবাহিনী। সেখানে বলা হয়, পূর্ব চীন সাগরে ও তাইওয়ানের আশপাশের এলাকায় ফ্রিগেট যুদ্ধজাহাজ, বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের তাইওয়ান সফরের কথা উল্লেখ না করে বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক ভুল সংকেতের জবাবে এই মহড়া চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড ও কৌশলগুলো পুরোপুরি ব্যর্থ ও খুবই বিপজ্জনক। যারা আগুন নিয়ে খেলে, তারা আগুনেই পুড়বে।
তাইওয়ানের যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সফরকে ‘উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলাদা একটি বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা আরও বাড়ানোর পথ তৈরি করছে।