অবশেষে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কনস্টিটিউশনাল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে শের বাহাদুর দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এ ছাড়া ভেঙে দেওয়ার পার্লামেন্ট আবারও কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শের বাহাদুর দেশটির বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের নেতা। এ ছাড়া দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নেপালের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনৈতিক সংকট আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল। কারণ, দেশটিতে কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে ওলির দল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টর নেতাদের মধ্যেও বিরোধ দেখা দিয়েছে।
নেপালের শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট। গতকাল আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছেন, ওলি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা অসাংবিধানিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরের ওলি প্রথম পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। কিন্তু এরপর আদালত জানান, এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। ফলে, আদালতে নির্দেশে আবারও বহাল করা হয় পার্লামেন্ট। এরপর পার্লামেন্টে ওলির বিরুদ্ধে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেরে যান ওলি। কিন্তু বিরোধীরা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী পদে টিকে যান ওলি।
কিন্তু নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে আবারও পার্লামেন্ট ভেঙে দেন ওলি। গত মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু দেশটির আইনপ্রণেতারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। পরে ওলির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান আইনপ্রণেতা ও অধিকারকর্মীরা।
আইনপ্রণেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আদালত বলেন, বিরোধী নেতা দেউবাকে আজ বিকেলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী করা উচিত। কারণ, তিনি তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পেরেছেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে বৈঠক ১৮ জুলাই বিকেল পাঁচটার মধ্যে বসতে হবে। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে।