ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক কাঠামোর যাত্রা শুরু

আইপিইএফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টোকিও, জাপান, ২৩ মে
ছবি: রয়টার্স

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক কাঠামো (আইপিইএফ)। সোমবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টোকিওতে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

আইপিইএফের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত শীর্ষ বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১০টি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী পর্যায়ের সদস্যরা এতে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ১৩টি দেশ টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও আঞ্চলিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের বলিষ্ঠ প্রতিফলন হচ্ছে এই কাঠামো। জাপান এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে।

এ উপলক্ষে ১৩টি দেশের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবাধ, মুক্ত, ন্যায্য, পারস্পরিক সংযুক্ত ও সমৃদ্ধ একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশগুলো অঙ্গীকারবদ্ধ। এ সময় চারটি ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো বাণিজ্য সরবরাহ শৃঙ্খল, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, কার্বণ মুক্তকরণ ও অবকাঠামো এবং কর ও দুর্নীতি দমন।

আঞ্চলিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, এতদঞ্চলে চীনের ক্রমে সম্প্রসারমাণ প্রভাব থেকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে মুক্ত রাখতে এ রকম একটি কাঠামো গঠন করা হয়েছে। তবে এই অর্থনৈতিক বলয় কতটা সফল হতে পারবে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে প্রভাবশালী দুই দেশ জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের করা আর্থিক অঙ্গীকারের ওপর।

এই কাঠামোতে অংশ নেওয়া ১৩টি দেশের অধিকাংশের চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। এ কারণে সেসব দেশ এটাকে সরাসরি চীনের বিরোধিতা হিসেবে দেখছে না; বরং একটি অতিরিক্ত সহায়ক অবলম্বন হিসেবে গণ্য করছে।