ইরাকে মার্কিন কিংবা কোনো বিদেশি সেনা থাকতে পারবেন না। আজ রোববার দেশটির পার্লামেন্টে এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। রাজধানী বাগদাদে গত শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর এই প্রস্তাব পাস করা হলো।
বিবিসির খবরে বলা হয়, পাস হওয়া প্রস্তাবে দেশটি থেকে সব বিদেশি সেনাকে ফিরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জাতিসংঘে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাকি পার্লামেন্ট। ইরাকের আইনপ্রণেতারা মনে করেন, মার্কিন বাহিনী ইরাকে ঢুকে সোলাইমানিকে হত্যা করায় তাদের (ইরাক) সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে অবশ্য বলা হচ্ছে, ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীকে সরাতে নতুন আইনের প্রয়োজন হবে। যে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে, তার মাধ্যমে মার্কিন সেনা সরানো সম্ভব হবে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরাকের চুক্তি রয়েছে।
২০০৩ সালের মার্চে গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুতের মিথ্যা অজুহাতে ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে লাখ-লাখ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলেও বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা দেশটিতে মোতায়েন রয়েছে। এই মার্কিন সেনারা আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে কঠিন পরিস্থিতিতে আছে ইরাক। দেশটির জনগণের একাংশ ইরানের প্রতি সহানুভূতিশীল। সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর সেই সহানুভূতি আরও বেড়েছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া ইরানের বেশ কিছু মিলিশিয়া বাহিনী ইরাকে তৎপর রয়েছে। অনেক গোষ্ঠীকে ইরান নানাভাবে সহায়তাও করে থাকে। তাই দেশটিতে এই গোষ্ঠীগুলোর হামলা বৃদ্ধির আশঙ্কায় রয়েছে ইরাক।