নিউজিল্যান্ড আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য দেশটির সীমান্ত আবার খুলে দেবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিউজিল্যান্ডের সীমান্তে জারি থাকা করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ সতর্কতার সঙ্গে শিথিলের বিষয়ে আজ বুধবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে রূপরেখা দেওয়া হয়।
দেশটির সরকার বলছে, বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য নিউজিল্যান্ড তার সীমান্ত আরও পাঁচ মাস বন্ধ রাখবে।
করোনার সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের মার্চে সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে, তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে বিশ্বের সফল দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের নামও উচ্চারিত হয়।
নিউজিল্যান্ডে করোনা মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে তাঁর দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। দেশটিতে জারি থাকা বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে।
ক্রিস জানান, পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া নিউজিল্যান্ডের নাগরিক ও বসবাসকারী ভিসাধারী যে ব্যক্তিরা বর্তমানে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন, তাঁরা আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে আসতে পারবেন। এ ছাড়া টিকা নেওয়া নিউজিল্যান্ডের নাগরিক ও বসবাসকারী ভিসাধারী যে ব্যক্তিরা অন্যান্য দেশে অবস্থান করছেন, তাঁরা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে আসতে পারবেন।
ক্রিস বলেন, বিশ্বের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায় ও নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর সম্ভাব্য প্রভাবকে হ্রাস করবে।
নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০৯ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪০ জন।