বিক্ষোভের মুখে বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যমগুলো বলছে, তাঁর রাজনৈতিক দল শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনার পক্ষ থেকে তাঁকে শিগগিরই পদত্যাগ করতেও বলা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণে সরকার গঠন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গত মে মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এরপর রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী করেন গোতাবায়া। তবে বিক্ষোভকারীরা যেমন তাঁকে মেনে নেননি, তেমনি দেশটির বিরোধী বেশ কিছু দলও রনিলের নিয়োগের বিরুদ্ধে ছিলেন।
তবে গোতাবায়ার কারণেই রনিল প্রধানমন্ত্রী হন। এই পদে আসীন হয়ে দেশটির চলমান সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজনীতির আমূল পরিবর্তন চাইছেন। রনিলের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার পরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিল দেশটির জনগণ। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, গোতাবায়াকেও পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। ফলে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়। এই পরিস্থিতির মুখে গতকাল বাসভবন ছেড়ে পালান গোতাবায়া।
এরপর জরুরি বৈঠকে বসেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সব দলকে এই বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি। কিন্তু এই বৈঠকে যোগ দেয়নি দেশটির অন্যতম বিরোধী দল সামাজি জানা বালাওয়েগায়ায়ের (এসজেবি) নেতারা। এরপর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব দলের অংশগ্রহণে সরকার গঠনে রনিল পদত্যাগ করবেন।