সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে সরকারি বাহিনী গত সপ্তাহে হামলা শুরু করার পর এ পর্যন্ত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যক্রম সংস্থা (ওসিএইচএ) বলছে, এ লড়াইয়ের কারণে প্রায় ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের অধিকাংশ আলেপ্পো শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা। খবর এএফপির।
ওসিএইচএর মুখপাত্র ভ্যানেসা হুগুয়েনিন বলেন, বাস্তুচ্যুত মানুষদের কেউ কেউ বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে। বাকিরা খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। বাস্তুহারা এসব লোকের তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রয়োজন। ত্রাণকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, যারা খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে, রাতে ঠান্ডায় তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের ওপর গত শুক্রবার থেকে হামলা শুরু করেছে দেশটির সরকারি বাহিনী। বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ওই শহরের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে হামলা শুরু করা হয়। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী আলেপ্পো-দামেস্ক মহাসড়কের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদ্রোহীদের দখল থেকে মুক্ত করার জন্য হামলা চালাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সিরিয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া রাশিয়ার বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ হচ্ছে বাশার সরকারের বিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীর সদস্য। মানবাধিকার সংগঠনটির হিসাবে, রুশ বিমান হামলায় ১২৭ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। নিহত বাকি ২৪৩ জন যোদ্ধার মধ্যে ৫২ জন জঙ্গি সংগঠন আইএস সদস্য।
জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১১ সালের মার্চে বাশার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।