পাকিস্তানে এবার অনাস্থার মুখে খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী

প্রতীকী ছবি
ছবি: রয়টার্স

এবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের আবেদন জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার প্রাদেশিক পরিষদের সচিব কিফায়েতুল্লাহ আফ্রিদির দপ্তরে আবেদনপত্রটি জমা দিয়েছে তারা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। একে পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পাখতুনখাওয়ার ১৪৫ সদস্যবিশিষ্ট প্রাদেশিক পরিষদে পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)-এর ৯৪ জন সদস্য আছেন। বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতার সংখ্যা ৫১। বর্তমানে পরিষদে একটি অধিবেশন চলমান। স্পিকার আগামী ১০ মে পর্যন্ত এ অধিবেশন মুলতবি রেখেছেন। গতকাল প্রাদেশিক পরিষদের সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। পাশাপাশি পরিষদে এ প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জমা দেয় তারা।

আবেদনে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ খান এখন আর প্রাদেশিক পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থা ধরে রাখতে পারছেন না। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে মাহমুদ খান এ পদে বহাল থাকবেন কি না।

যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন—আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সরদার হুসেইন বাবাক, খুশদিল খান ও সাগুফতা মালিক, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতা নিঘাত ওরাকজাই, মুত্তাহিদা মজলিস–ই–আমলের (এএমএ) আইনপ্রণেতা মিঞা নিসার গুল ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির আইনপ্রণেতা বিলাওয়াল আফ্রিদি। প্রস্তাবে ৩৬ জন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। তার মধ্যে এমএমএর ১৭ জন, এএনপির ১২ জন, পিপিপির ৬ জন এবং জামাত-ই ইসলামির ১ জন আইনপ্রণেতা রয়েছেন।

গতকাল অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার আগে বিরোধী দলগুলোর বৈঠক হয়। সেখানে অনাস্থা উদ্যোগের কৌশল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। বৈঠকের পর এএনপির সংসদীয় নেতা সরদার হুসেইন বাবাক প্রাদেশিক পরিষদের সচিবকে আলাদা করে একটি চিঠিও দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সংবিধান, আইন এবং ব্যবসায়িক নীতি মেনে খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদের কার্যক্রম চলবে।’ তাঁর দাবি, জাতীয় পরিষদ ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে কিছু অসাংবিধানিক ও বেআইনি পদক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদে নিয়োজিত পিটিআইর চিফ হুইপ শওকত ইউসুফজাই বিরোধীদের এ পদক্ষেপকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বিরোধী দলের ৫১ জন সদস্য কীভাবে ৯৪ জন সদস্যের ক্ষমতাসীন দলকে পরাজিত করবে। পিটিআই তাদের সমর্থকদের বিরোধী দলের কাছে বিক্রি হতে দেবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।