নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, হোয়াইট আইল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় আটকে পড়া মানুষের আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, দ্বীপটি নিরাপদ হলে আমরা উদ্ধারকাজে নামব এবং প্রিয়জনদের ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১১ মিনিটে হোয়াইট আইল্যান্ড নামের আগ্নেয়গিরিতে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর কয়েক মুহূর্ত আগেও আগ্নেয়গিরিটির অদূরে পর্যটকদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এতে অনন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বাকিরা নিখোঁজ আছেন। তবে তাঁদের আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা পরিবার বা বন্ধু হারিয়েছেন বা যাঁদের প্রিয়জন নিখোঁজ হয়েছেন, আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।’
পুলিশ জানায়, ঘটনায় সময় ওই আইল্যান্ডে ৪৭ জন পর্যটক ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত লরা ক্লার্ক বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ব্রিটিশ নাগরিক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক আছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় পর্যটকবাহী একটি নৌকায় ২৪ জন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে আছেন। বাকি ১১ জনের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।