ইন্দোনেশিয়ায় এবারের সুনামির জন্য দায়ী আনাক ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির দুই-তৃতীয়াংশ ধসে পড়েছে। আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত থেকে সমুদ্রের তলদেশে ধসের কারণে গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার সুন্দা প্রণালিতে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়। এতে ৪০০ মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ২০ জনের বেশি নিখোঁজ। ৪০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গবেষকেরা আনাক ক্রাকাতাও স্যাটেলাইট চিত্র পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় উচ্চতা ও ঘনত্বে আগ্নেয়গিরিটির দুই-তৃতীয়াংশ ধসে গেছে। আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরে ছোড়া পাথর ও ছাইয়ের কারণে জাভা ও সুমাত্রা উপকূলের কাছে পানির উচ্চতা পাঁচ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
আগ্নেয়গিরিতত্ত্ব ও ভূবিদ্যাসংক্রান্ত ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র (পিভিএমবিজি) কয়েকটি রাডার স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলো পর্যালোচনা করেছে। পিভিএমবিজি জানিয়েছে, প্রাথমিক কিছু তথ্য থেকে বোঝা গেছে, আনাক ক্রাকাতাও আকৃতি হারিয়েছে—বিশেষ করে পশ্চিম দিকে। কোনাকার আগ্নেয়গিরিটি ৩৩৮ মিটার উঁচু ছিল। এখন সেটা ১১০ মিটারে নেমে এসেছে। ঘনত্বের দিক দিয়েও কমেছে। ১৫০ থেকে ১৭০ মিলিয়ন ঘনমিটার পদার্থ কমে গিয়ে এখন তা মাত্র ৪০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনমিটার রয়েছে।
আগ্নেয়গিরিটি কী পরিমাণ পদার্থ ২২ ডিসেম্বর সুনামির দিন হারিয়েছে বা এর পরের দিনগুলোয় হারিয়েছে, তা জানা যায়নি।
তবে এখনো আনাক ক্রাকাতাও থেকে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। এর কাছাকাছি এখন আর কেউ যাচ্ছে না। আগ্নেয়গিরির কোনাকৃতির শীর্ষস্থান ধসের সঙ্গে সুনামির সৃষ্টি হওয়া নিয়ে শনিবারের আগে সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কা করা হয়েছিল।