অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করা নারীর কাছে ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান তিনি। খবর বিবিসির।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে সাবেক কর্মী ব্রিটনি হিগিন্স অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৯ সালে পার্লামেন্ট ভবনে এক সহকর্মী তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই খবর প্রকাশের পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, হিগিন্সের ওই ঘটনা সামনে আসার পর দেশটিতে বিক্ষোভও হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতাসহ অন্যরাও হিগিন্সের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
হিগিন্সের ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পার্লামেন্টে যৌন হয়রানির আরও কিছু ঘটনা সামনে আসে। এসব ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্কট মরিসন। তবে হিগিন্সের কাছে সরাসরি ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
মরিসন বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য হিগিন্সের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ পার্লামেন্ট ভবনে কোনো কর্মীকে অপমানের দীর্ঘদিনের যে চর্চা, তারও বর্ণনা দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘হিগিন্সের মতো যাঁরা এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন, আমি তাঁদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।’
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের এমন ঘটনা অনেককে অবাক করেছিল। ওই সময় হিগিন্স বলেছিলেন, তিনি যাতে পুলিশের কাছ না যান, এ জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কারণ, এর পরপরই ২০১৯ সালের নির্বাচন হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ওই ঘটনাকে ‘নীরবতার সংস্কৃতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।