ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করলেও তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর সেখান থেকে ৪৪ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। কোনো উসকানি ছাড়াই ইরান ওই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অস্ত্র ব্যবহারের ধরনে বুদ্ধিমত্তার নিরিখে যুক্তরাষ্ট্র এর মূল্যায়ন করছে।
ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানের কোনো যোগসূত্র নেই।
তেলের ট্যাংকার দুটি হলো নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট আলটিয়ার ও জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারিজিয়াস। নরওয়ের সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্রন্ট আলটিয়ারে তিনটি বিস্ফোরণ হয়। ফ্রন্ট অলটিয়ার ভাড়া নিয়েছে তাইওয়ান।
অন্যদিকে কোকুকা কারিজিয়াসের একজন মুখপাত্র জানান, বিস্ফোরণের পর ক্রুরা ছোট জলযান নিয়ে জাহাজ থেকে নিরাপদে সরে যান। এই যানে মিথানল পরিবহন করা হচ্ছিল। বর্তমানে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার ও ইরানের উপকূল থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
এর আগে গত ১২ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চারটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি ও কাউকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন পড়েনি। ওই ঘটনায় জন্যও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানকে দায়ী করে। ওই তেলের ট্যাংকারগুলো ইরানের মাইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোলটন। অবশ্য এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি জন বোলটন। এ অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইরান। অন্যদিকে সৌদি আরব, ইউএই ও নরওয়ে গত সপ্তাহে জাতিসংঘে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে ওই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি।