তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন অথবা চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এমন তথ্য দিয়েছে। খবর এএনআইয়ের
আইএলও সতর্কতা জারি করে বলেছে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, নারীরা বেশি চাকরি হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে কর্মহীনের সংখ্যা বেড়ে সাত লাখের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের বিধিনিষেধের কারণে চাকরি হারানোর সংখ্যা ৯ লাখেও পৌঁছাতে পারে।
বৈশ্বিক সূচকে নারীদের কর্মসংস্থানের হার খুবই কম। আইএলও বলছে, গত বছরের তিন-চতুর্থাংশে কর্মহীনের হার ১৬ শতাংশ কমেছে। আর এ বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কর্মহীনের হার ২১ থেকে ২৮ শতাংশের মাঝামাঝি হতে পারে।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত আইএলওর জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী রামিন বেহজাদ বলেন, আফগানিস্তান কঠোর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সহযোগিতা প্রয়োজন।
আইএলও বলছে, মানবিক ত্রাণ এবং মৌলিক চাহিদা পূরণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর সেটা নির্ভর করবে কর্মসংস্থানের ওপর।
বিশেষ করে কৃষি ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কর্মহীন হয়ে পড়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে। এসব খাতে কর্মীদের হয়তো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে অথবা বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ খাতে ৫ লাখ ৩৮ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৯৯ শতাংশ পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ, বড় প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আইএলও আরও বলছে, তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আন্তর্জাতিক সহায়তা না থাকায় শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।