তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় এবার চীনের অর্ধশতাধিক যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছে। এর আগে চীনা বিমানবাহিনীর এত যুদ্ধবিমান দেশটির প্রতিরক্ষা সীমানায় কখনো দেখা যায়নি। বেইজিংকে এমন ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে তাইওয়ান। খবর বিবিসির
গত ১ অক্টোবর নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাম্প্রতিক এই উত্তেজনার পেছনে বেইজিংয়ের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য চীন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ মনে করে চীন। কিন্তু তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে আসছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে আকাশসীমায় চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ নিয়ে অভিযোগ করে আসছে তাইওয়ান। বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে গেল কয়েক দিনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন।
সবশেষ পাঠানো যুদ্ধবিমানের বহরে ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোমারু বিমান ছিল। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার আরও চারটি যুদ্ধবিমান প্রাতাস দ্বীপের পাশ দিয়ে উড়ে যায়। তাইওয়ান সরকারের দাবি প্রাতাস দ্বীপ তাঁদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা।
চীনসংক্রান্ত তাইওয়ানের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী সংস্থা মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি) গতকালের এই ঘটনার পর বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ তুলেছে।
বিবৃতিতে সংস্থাটির মুখপাত্র চিউই চুই চেং বলেন, ‘আমরা বেইজিং কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে তাদের অস্থিতিশীল ও দায়িত্বজ্ঞানহীন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’ হুমকির কাছে তাইওয়ান কখনো আপস করবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য চীন দায়ী এবং তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে ফেলেছে।’
বিবিসি জানিয়েছে, এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ানের যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করতে তারা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন দৃঢ়সংকল্প। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করা বন্ধ করা।