জ্বালানি তেলের সংকট, শ্রীলঙ্কার হাতে মাত্র চার দিনের মজুত

জ্বালানি তেলের সংকট
ফাইল ছবি: রয়টার্স

অর্থনৈতিক সংকটের কবলে শ্রীলঙ্কা। দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের জন্য তীব্র হাহাকার। চলতি সপ্তাহে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দেশটিতে এই মুহূর্তে যে পরিমাণ তেল মজুত আছে, তা দিয়ে কমবেশি চার দিনের চাহিদা মিটবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় অর্থনীতিতে ধস নামে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ তলানিতে নামার পর। গত সাত দশকে এমন সংকটের মধ্যে পড়েননি দেশটির বাসিন্দারা। ডলারের অভাবে খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাধা আসছে। একই কারণে দেখা দিয়েছে তেলের অভাব।

সংকটের মধ্যে তেল কিনতে শ্রীলঙ্কার পেট্রলপাম্পগুলোতে গ্রাহকদের কয়েক কিলোমিটার লম্বা লাইন দেখা গেছে। অনেক জায়গায় পেট্রল ও ডিজেলের জন্য গাড়ির মালিকেরা সারা রাত অপেক্ষা করেছেন। এসবের জেরে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটছে।

জ্বালানি তেলের বিক্রেতাদের কাছে শ্রীলঙ্কার ৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বাকি পড়েছে বলে জানিয়েছেন কাঞ্চনা উইজেসেকেরা। তাই তেল আমদানি করতে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার কারণে আমরা তেল আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের কাছে যে মজুত আছে, তা দিয়ে ২১ জুন পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে সরকার কাজ করছে।’

তবে কিছুটা আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তিন দিনের মধ্যে পেট্রলের একটি চালান শ্রীলঙ্কায় আসবে। আর আট দিনের মধ্যে আরও দুটি চালান আসবে।’

এদিকে ভারত সরকারের একটি ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা। আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলে ওই অর্থ ছাড় দেওয়া হবে। ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই ঋণ দিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহে আমদানি করা তেলের মূল্য পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন কাঞ্চনা উইজেসেকেরা।