চীন সফরে উন

কিম জং-উন
কিম জং-উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন চীন সফরে যাবেন—এমন গুঞ্জন কিছুদিন ধরেই চলছিল। সে গুঞ্জন সত্যি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিশেষ ট্রেনে করে উত্তর কোরিয়ার উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার চীনে আসার খবরের পর গুঞ্জন জোরালো হয়। এবার চীন ও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কিমের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটাই কিমের বড় ধরনের বিদেশ সফর। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে কিমের আলোচনা সফল হয়েছে। চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক বরাবরই ভালো।

এর আগে জাপানি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে একটি ট্রেন এসেছে। ওই ট্রেনেই ছিলেন কিম জং-উন। নিরাপত্তার বহর দেখে ওই সংবাদমাধ্যম এমনটাই অনুমান করেছিল।

উত্তর কোরিয়ার এ উদ্যোগকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী মে মাস নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন কিম।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মেলনে যাওয়ার আগে উত্তর কোরিয়া ও চীনের নেতারা আগে সাক্ষাৎ করবেন।

সিনহুয়া বলেছে, চীনা নেতৃবৃন্দের কাছে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন কিম।

কিমের বরাতে সিনহুয়া বলেছে, যদি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে শুভেচ্ছা জানাতে পারে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি করে, তবে কোরিয়া উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়টি সমাধান হতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) কিমের চীন সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে। কিমের চীন সফরের পরে সি ফিরতি সফরে আসবেন বলেও জানিয়েছে কেসিএনএ।

কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে চলা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও বৈরিতার মধ্যে গত মাসে কিমের পাঠানো আলোচনা প্রস্তাব গ্রহণ করেন ট্রাম্প। যদি সম্মেলন সফল হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে বৈঠকের ঘটনা এটাই হবে প্রথম।