করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিজেদের অ্যাভিগান ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে জাপানের ফুজি ফিল্ম। সাধারণত, ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাভিগান ওষুধটি চীনে করোনা চিকিৎসায় ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। চীনের ট্রায়ালে দেখা যায়, যাঁদের ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, অন্যদের তুলনায় তাঁরা দ্রুত সেরে ওঠেন। অ্যাভিগানের জেনেরিক নাম ফ্যাভিপিরাভির।
আজ বুধবার কোম্পানির এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, জুনের শেষ নাগাদ ১০০ জন রোগীর ওপর এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ট্রায়াল হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য সংগ্রহ করব, বিশ্লেষণ করব, এরপর অনুমোদনের জন্য আবেদন করব। হালকা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ২০ থেকে ৭৪ বছর বয়সী রোগীদের সর্বোচ্চ দিনের জন্য এই ওষুধটি দেওয়া হবে। তবে প্রাণীর শরীরে পরীক্ষার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হবে না।’
গত শনিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, তাঁর সরকার নতুন এই ভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে অ্যাভিগানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। এরপরই তৃতীয় ধাপে ট্রায়ালের ঘোষণা এল।
গত মাসে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, এর মধ্যে ফ্যাভিপিরাভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে।
জাপানে এর আগে করা দুই ধাপের ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই ওষুধ রোগীদের সুস্থ হওয়ার সময় কমিয়ে আনে। যদিও ওই দুই ট্রায়াল প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিল না ফুজি ফিল্ম।
এবারে তৃতীয় ধাপে ট্রায়ালের আগে ফুজি ফিল্ম এক বিবৃতিতে জানায়, আশা করা যায় নতুন করোনাভাইসের ওপর অ্যাভিগান সম্ভাব্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রভাব ফেলতে পারবে।
সাধারণত ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাভিগ্যান
করোনা চিকিৎসায় জাপানের তৈরি অ্যাভিগ্যান ওষুধটি চীনে ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। সাধারণত ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাভিগ্যান ওষুধকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহারের দ্রুত অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করছে জাপান। বেশ কিছু করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধের কার্যকারিতার লক্ষণ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেক দেশ এই ওষুধ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবার জাপানও ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে।