করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ হওয়ার রেকর্ডে প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯০০ ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
চীনা সরকার কাজকর্ম ও ভ্রমণের ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এতে লোকজন ধীরে ধীরে অফিস ও কারখানায় ফিরতে শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে চীনা চান্দ্রবর্ষের ছুটি ১০ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে চীনে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে একধরনের স্থবিরতা দেখা দেয়।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, গতকাল রোববার করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন ৯৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যার বিবেচনায় এটি ছিল চীনের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।
চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ৯০৮।
ইতিমধ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবে সার্সকে ছাড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস। ২০০২-০৩ সালে মহামারি আকারে দেখা দেওয়া সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সে ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিলেন। সার্সের প্রাদুর্ভাব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার কারণে বেইজিং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় চীনা কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে ৩ হাজার ৬২ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে চীনে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৭১। আর ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ জন চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে (মেডিকেল অবজারভেশন) আছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, অন্তত ২৮ দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত হয়েছে। চীনের বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ জনের বেশি। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে দুজন মারা গেছেন। তাঁরা দুজনই চীনা নাগরিক।
নতুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাজে সহায়তা করতে ডব্লিউএইচও একটি বিশেষজ্ঞ দলকে বেইজিং পাঠিয়েছে।