চীন সরকার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কমাতে বড় পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই বড় শহরগুলো থেকে নিকৃষ্ট মানের প্লাস্টিক (ওয়ান টাইম ব্যাগ বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক) সব নিষিদ্ধ করা হবে। ২০২২ সালের মধ্যে সব শহর থেকে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনও রয়েছে।
চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রেস্তোরাঁগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য খাওয়ার পাইপ (স্ট্র) ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। শত কোটির বেশি মানুষের দেশ চীন বর্জ্য অপসারণে হিমশিম খাচ্ছে। দেশটির সবচেয়ে বড় আস্তাকুঁড় ১০০টি ফুটবল মাঠের সমান। সেটি এখন আবর্জনায় ভরে গেছে।
২০১৭ সালে চীন নগরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ২১ কোটি ৫০ লাখ টনের বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করেছিল। তবে এসব বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সহজ হয়নি।
চীনের দ্য ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশন গতকাল রোববার নতুন নীতি জারি করেছে। আগামী পাঁচ বছরে এই নীতির বাস্তবায়ন হবে।
২০২২ সালের মধ্যে সব শহর ও এলাকা থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হবে। তবে যেসব বাজারে তাজা পণ্য বিক্রি করা হয়, সেগুলোর জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। শূন্য দশমিক শূন্য ২৫ এমএমের চেয়ে কম ঘনত্ববিশিষ্ট প্লাস্টিক ব্যাগের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে। রেস্তোরাঁগুলোকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার ৩০ ভাগ কমাতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য বিনা মূল্যে না দিতে বলা হয়েছে হোটেলগুলোকে।
প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে চীনের এই উদ্যোগ এবারই প্রথম নয়। ২০০৮ সালে খুচরা বিক্রেতাদের বিনা মূল্যে প্লাস্টিক সরবরাহ বন্ধ করেছিল চীন সরকার। ২০১৭ সালে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানিকারক অন্যতম বড় দেশ চীন বিদেশি প্লাস্টিক বর্জ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
এশিয়ার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের উদ্যোগী দেশ চীন একা নয়। থাইল্যান্ড এ বছরের শুরুতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যাগ বড় দোকানগুলোতে ২০২১ সালের মধ্যে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার মার্কেট ও সাধারণ বাজারে ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপেও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ করা হয়েছে।