ঘুড়ি উৎসবের জমজমাট আসর। কেউ ঘুড়ি ওড়াতে, কেউবা আকাশে ঘুড়ির মেলা দেখায় ব্যস্ত। এর মধ্যেই হঠাৎ হইচই। ঘটনাস্থলের সবাই একটা ঘুড়িকে নির্দেশ করে চিৎকার–চেঁচামেচি করছিল। কারণ, ঘুড়িটির সঙ্গে এর লেজে ঝুলে উড়ছিল একটি শিশুও।
ঘটনাটি ঘটেছে তাইওয়ানে, গত রোববার। এদিন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের দক্ষিণে সিনচু শহরে বসেছিল এবারের আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব। এই ঘুড়ি উৎসব দেখতে মায়ের সঙ্গে তিন বছর বয়সী ওই মেয়েশিশুটিও সেখানে গিয়েছিল। একপর্যায়ে বিশাল আকৃতির একটি ঘুড়ির লেজে আটকে সে–ও উড়ে যায়। ৩০ সেকেন্ডের মতো বাতাসে ভাসার পর শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সিএনএন জানায়, ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার শুরুতে একদল লোক দীর্ঘ লেজের একটি ঘুড়িকে ওড়ানোর জন্য প্রস্তুত করছেন। তখন বেশ জোরেই বাতাস বইছিল। ওড়ার আগেই ঘুড়িটির নাচানাচিতে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তাইওয়ানের সরকার পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (সিএনএ) জানিয়েছে, সে সময় ঘটনাস্থলে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার থেকে ৬১ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল। কিছু পর ঘুড়িটি ওড়ানো হয়। জোরালো বাতাসে মুক্ত বিহঙ্গের মতোই উড়াল দেয় সেটি। কিন্তু ওড়ার সময়ই কীভাবে যেন ঘুড়িটির লেজে আটকে যায় তিন বছর বয়সী ওই শিশুটি।
প্রায় ৩০ সেকেন্ড চেষ্টার পর ঘুড়িটিকে নামিয়ে আনতে সমর্থ হন উপস্থিত লোকজন। শিশুটিকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হয় হাসপাতালে। মুখ আর ঘাড়ে সামান্য কাটাছেঁড়া ছাড়া আর কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না তার শরীরে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকেরা তাকে ছেড়ে দিয়েছেন।
ঘটনার পরপরই ফেসবুকে এক বিবৃতিতে ক্ষমা চেয়েছেন সিনচু শহরের মেয়র লিন চিহ–চিয়েন। তিনি বলেছেন, শিশুটি কীভাবে ঘুড়ির সঙ্গে উড়ে গেল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্যই এই বিষয়টি জানা দরকার। এ ছাড়া কারও অবহেলার কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকলে, তাকেও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।