তুরস্কের কাছে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করার সময় ধারণ করা অডিও রেকর্ড চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, অডিও রেকর্ড থাকলে তাঁরা তা চেয়েছেন। বলা হচ্ছে, খাসোগিকে হত্যা করার সময় তাঁর অ্যাপল ওয়াচে ওই সময়ের কথাবার্তা রেকর্ড হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘অডিও রেকর্ড যদি থাকে, তাহলে আমরা তা চাই।’
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি ও সিএনএনের খবরে জানানো হয়, ট্রাম্প বলেছেন, এমন কোনো অডিও থাকার বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এ রকম অডিও থাকতেও পারে। এই সপ্তাহের শেষে আসল সত্য জানা যাবে। সৌদি আরবের দোষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন—এমন কথা উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি শুধু কী ঘটেছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তুরস্কের একজন কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার দাবি করেন, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যার পর খাসোগির দেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এর আগে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে একই দাবি করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস। গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে তুরস্কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সৌদি কনস্যুলেটে তল্লাশি চালান।
তুরস্কের সরকারপন্থী সংবাদপত্র ইয়েনি সাফাক দাবি করেছে, খাসোগির অ্যাপল ওয়াচে হওয়া অডিও রেকর্ড তারা শুনেছে। এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, কনস্যুলেটে জিজ্ঞাসাবাদের সময় খাসোগির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এরপর তাঁকে হত্যা করা হয়। তাঁকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
নিখোঁজ হওয়ার আগে জামাল খাসোগির লেখা শেষ কলাম প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। সেখানে খাসোগি আরব বিশ্বে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব নিয়ে লিখেছিলেন। খাসোগি আরব বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করতেন। শেষ কলামে তিনি লিখেছিলেন, পুরোনো ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আরব বিশ্বে নতুন ধারার সংবাদ মাধ্যম প্রয়োজন। যাতে দেশের ভেতরে ও বাইরে কী ঘটছে নাগরিকেরা তা জানতে পারেন।
ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব। খাসোগি ইস্যুতে সৌদি আরবকে চাপ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপের মুখে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অারও পড়ুন :-