ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কাশ্মীরে মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, কাশ্মীরের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে—এমন নীতিই নেবে ভারত। কাশ্মীর পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাজ্যকেও দায়ী করেছেন খামেনি।
এনডিটিভির খবরে জানা যায়, খামেনি টুইট করেছেন, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের জন্য দায়ী ব্রিটিশরা। ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে বিদ্বেষ জিইয়ে রেখেছে ব্রিটিশরা।
ভারতের বর্তমান বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের সপ্তাহ দুয়েক পর গতকাল বুধবার কাশ্মীর বিষয়ে মন্তব্য করলেন খামেনি।
খামেনি টুইটে আরও জানান, ‘আমরা কাশ্মীরে মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করছি, ভারত সরকার কাশ্মীরের জনগণের কথা ভাববে। সেখানে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন প্রতিরোধ করবে।’
পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মঙ্গলবার যাবে বলে জানায়। এর এক দিন পরেই কাশ্মীর বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে এই বার্তা এল। গত সপ্তাহে কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোড়ন সৃষ্টির চেষ্টা করে পাকিস্তান। তবে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দেশ একে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলে দাবি করলে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
কাশ্মীর ইস্যুতে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। টেলিফোনে জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ‘নমনীয় ভাষা’ ব্যবহার করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।