নাটক-সিনেমায় অনেক সময়ই কাহিনির প্রয়োজনে কারাগারের জীবন হাজির করা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে বাস্তবের কারাগারের কতটুকু মিল, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারাগারে কয়েদিদের দিনগুলো কীভাবে কাটে, সেখানে তাঁদের জীবন কেমন, সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা স্পষ্ট নয়। এই সংশয়কেই পুঁজি করে কারাগারকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায় থাইল্যান্ড।
অন্যান্য দেশের মতো করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডেও। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পর্যটনশিল্প। এই ক্ষতি পোষাতে দেশের অর্ধেক কারাগারকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
থাইল্যান্ডে ১৪৩টি কারাগার রয়েছে। দেশটির বিচারমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন সম্প্রতি বলেছেন, ওই কারাগারগুলোর মধ্যে ৭২টিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। এসব কারাগারে খেলাধুলা, চিত্রকলার প্রদর্শনী, রান্নার প্রতিযোগিতা, কয়েদিদের তৈরি স্মারক প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন করা হবে। এরই মধ্যে পাঁচটি কারাগারে পাইলট প্রকল্প পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
তবে কারা পর্যটনের এই ধারণা নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর আলকাতরাহ দ্বীপের কারাগার থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের হ্যানয়ের কুখ্যাত হোয়া লো কারাগার পর্যন্ত বেশ কিছু কারাগার এরই মধ্যে পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে হোয়া লো কারাগারকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। এ ছাড়া কলম্বিয়ায় নারীদের একটি কারাগার এখন রেস্তোরাঁয় পরিণত হয়েছে, যা পরিচালনা করেন সেখানকার কয়েদিরা। থাইল্যান্ডেও কারা পর্যটনের উদাহরণ রয়েছে। কোহ তাও এবং কোহ তারুতাও দ্বীপে থাকা কারাগার দুটিকে দেশটি সফলভাবে পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করেছে, যদিও তা করা হয়েছে কারাগার দুটি পরিত্যক্ত হওয়ার বেশ পরে।