আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হামলার আশঙ্কার বিষয়টি সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। যেকোনো ধরনের হামলা এড়াতে লোকজনকে বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে দেশগুলো। গতকাল বুধবার এ সতর্কতা জারি করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকেই হুমকির মুখে আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছেন বিদেশি নাগরিক ও আফগানরা। দেশত্যাগে তাঁরা ব্যবহার করছেন কাবুল বিমানবন্দর। ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে ক্ষমতা আসার পর থেকে বিমানবন্দরের দিকে হাজার হাজার মানুষের স্রোত দেখা যায়। এতে হতাহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এদিকে হামলার সতর্কতা জারি করে বিমানবন্দরের অ্যাবি গেট, পূর্ব গেট ও উত্তর গেটে অবস্থানকারীদের দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে হামলা সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি তারা।
একই কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা জানিয়েছে, বিমানবন্দরে হামলার বড় হুমকি রয়েছে। একই সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় থাকলে দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। যেকোনো উপায়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে বলা হয়েছে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকেও।
এদিকে আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন ও মিত্রবাহিনীর সেনাসদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। একই সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে বিভিন্ন দেশের নাগরিক, কর্মকর্তা এবং দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে পশ্চিমা সেনাদের সহায়তা করা আফগান নাগরিকদের। এ সংখ্যা একেবারেই কম নয়। তাই আগামী পাঁচ দিনের সময়সীমার মধ্যে বিশালসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
বিদেশি নাগরিক ও দেশত্যাগে ইচ্ছুক আফগানদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না—তালেবানের এমন প্রতিশ্রুতির কথা সামনে এনেছে ওয়াশিংটন। ওই প্রতিশ্রুতি ধরে রাখার দায়বদ্ধতা তালেবানের রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে যাঁরা আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছেন, তাঁদের ভয় শুধু তালেবানই নয়; দেশটিতে ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) আরও ভয়ংকর সব সন্ত্রাসী সংগঠনের উপস্থিতি রয়েছে। তালেবানের পাশাপাশি তারাও হুমকির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।