আফগানিস্তানে অবস্থান করা ব্রিটিশ সেনাসদস্যদের নিয়ে রাজধানী কাবুল ছেড়েছে যুক্তরাজ্যের শেষ উড়োজাহাজ। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে দেশটির সেনা ও বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হলো। গতকাল শনিবার উড়োজাহাজটি কাবুল ছেড়ে যায়। খবর এএফপির।
যুক্তরাজ্যের আগেই কাবুল থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সব সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটি থেকে এক লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের চূড়ান্ত ধাপে প্রত্যাহারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি পোস্ট করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে কয়েকটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়। ছবিগুলোতে ব্রিটিশ সেনাসদস্যদের উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়। এ সময় তাঁদের বেশ বিধ্বস্ত মনে হচ্ছিল।
সেনাসদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওই টুইটে বলা হয়, ‘চরম ঝুঁকিতে থাকা বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদে নিতে যাঁরা প্রচণ্ড চাপ ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’
আফগানিস্তান ছাড়ার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কাবুলে উদ্ধার অভিযানে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বরিস বলেন, দুই সপ্তাহের কম সময়ে তাঁরা আফগানিস্তান থেকে ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে শেষ মুহূর্তে এসে আফগানিস্তান থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার নিক কার্টার। শনিবার তিনি বলেন, নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা শতাধিক আফগান এখনো কাবুলে রয়েছেন। সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা, অর্থাৎ ৩১ আগস্টের পর তাঁরা কোনোভাবে আফগানিস্তান থেকে বের হয়ে আসতে পারলে যুক্তরাজ্য তাঁদের স্বাগত জানাবে।
চলতি মাসের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্ত ধাপে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রবাহিনীর সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করতে হবে। এ সময় বাড়াতে রাজি নয় দেশটিতে ক্ষমতায় থাকা তালেবানও। ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশটিতে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিক ও ২০ বছরের যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা করা আফগানদেরও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো। ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর এ কার্যক্রম আরও গতি পায়।