করোনার চিকিৎসায় তিনটি ভেষজ ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে চীন। গত বুধবার চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, তিনটি স্থানীয় চীনা ওষুধ বিক্রির পথ সুগম করতে সংস্থাটি বিশেষ অনুমোদন প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনটি ভেষজ ওষুধ বিক্রির এই অনুমোদন দেশটিতে করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও সুযোগ তৈরি করবে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ভেষজ ওষুধগুলো দানাদার প্রকৃতির। প্রাচীন চীনা ব্যবস্থাপত্রে এই ওষুধগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে।
স্থানীয় পদ্ধতিতে এই তিনটি ভেষজ ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। করোনা মহামারির শুরুর দিকে চীনে চিকিৎসায় এমন ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে। সম্মুখসারির শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা এই ওষুধ পরীক্ষা করেছেন।
চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভাষ্য, বিক্রির অনুমোদন পাওয়া ওষুধগুলো ফুসফুস পরিষ্কার করে। কণিকাকে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে মুক্ত করে। রক্তে অক্সিজেন ছড়াতে সহায়তা করে।
স্থানীয় চীনা ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে খোদ চীনেই বিতর্ক আছে। দেশটিতে এই ধরনের ওষুধের পক্ষে-বিপক্ষে মত লক্ষ করা যায়।
সমালোচকেরা বলছেন, এই ধরনের ওষুধের অনুমিত উপকারিতার পক্ষে যাচাইযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
অবশ্য চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিজেই এই ধরনের ওষুধের একজন সমর্থক। তিনি একাধিকবার এই ধরনের ওষুধের প্রশংসা করেছেন। এই ধরনের ওষুধকে ‘জাতীয় গর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন। চীনে করোনা ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশটির চিকিৎসকদের রোগীদের চিকিৎসায় পশ্চিমা ওষুধের সঙ্গে ভেষজ সংযুক্ত করতে বারবার উৎসাহিত করেন।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছর দেশটির হাজারো করোনা রোগী মূলধারার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের সঙ্গে হারবাল ওষুধ গ্রহণ করেন।