করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া দেশের নাগরিকদের প্রবেশ ঠেকাতে ওমরাহ ও ট্যুরিস্ট ভিসা স্থগিত করেছে সৌদি আরব। চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করতে মক্কা-মদিনায় যান। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুসল্লি ওমরাহ পালন করতে সৌদিতে যান। পর্যটক টানতে গত বছরের অক্টোবরে ৪৯ দেশের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করে সৌদি আরব। আপাতত ওমরাহ ও ট্যুরিস্ট ভিসা স্থগিত থাকবে।
এক বিবৃতিতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক। তবে কবে নাগাদ এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। জুলাইয়ের শেষের দিকে পবিত্র হজের সময়সূচি রয়েছে। এতে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মদিনায় মসজিদে নববিতে প্রবেশাধিকারও স্থগিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে সৌদি এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
সৌদির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১০ কোটি পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সৌদি আরব। এ জন্য গত বছরের অক্টোবরে নতুন করে কয়েকটি দেশের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করা হয়। এ সপ্তাহে চার লাখ ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয়।
বাহরাইনে এখন পর্যন্ত ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে বাহরাইনের চারজন নারী ও তিনজন পুরুষ, দুজন নারী সৌদি আরবের নাগরিক।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ওমানে ৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩ জন ও কুয়েতে ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরছিসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৯৫ জন। মারা গেছেন ১৫ জন।