চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সামরিক গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে ভুল করে ভাইরাসটি বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। চীন এই জৈবাস্ত্র তৈরি করেছে বিশ্ববাণিজ্য দখলে নিতে ও দুনিয়াজুড়ে নিজের কর্তৃত্ব বাড়াতে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এ অভিযোগ ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম অভিযোগ প্রথম করেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক এক কর্মকর্তা। এরপর সেই তালিকায় যুক্ত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
সারা দুনিয়াতেই মানুষ গুজবে একটু বেশিই আস্থা রাখে। রীতিমতো এসব নিয়ে চর্চাও হয়। কন্সপিরেসি থিওরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নামে এ চিন্তা ও তৎপরতার চর্চা সারা দুনিয়াতে চলে। গত শতাব্দীতে মানুষের সব থেকে বড় অর্জনগুলোর একটি চন্দ্রবিজয় নিয়েও এ রকম হয়েছিল।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং। চন্দ্রজয়ের ৫০ বছর পরও অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন, মানুষ চাঁদে কখনো নামেনি। তৎকালীন কমিউনিস্ট শাসিত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জিততে যুক্তরাষ্ট্র সারা দুনিয়ার মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার বিভিন্ন সময় চালানো জরিপে দেখা গেছে, খোদ সে দেশেরই প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না যে চাঁদে নিল আর্মস্ট্রংরা কখনো গিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাস চীনের জৈবাস্ত্র নাকি ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিপুল মানুষের মধ্যে তর্ক–বিতর্ক হচ্ছে। আর এসব বিতর্ক খোদ অভিযুক্ত রাষ্ট্রগুলোই উসকে দিচ্ছে। পরস্পরের প্রতি এ অভিযোগ শীতল যুদ্ধের দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এতে কেউ কেউ মনে করছেন, এসব মূলত শীতল যুদ্ধ অন্য মোড়কে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মোসাদের দাবি
ইসরায়েলের সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শোহাম ‘কোভিড ১৯’ বা করোনাভাইরাসকে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন। চীনের জীবাণু যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, চীনের গোপন জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের কিছু ল্যাবরেটরিতে চীনের নতুন নতুন জীবাণু অস্ত্র তৈরি এবং এসব অস্ত্র নিয়ে গোপনে গবেষণা করা হয়। সামরিক-বেসামরিক গবেষণার অংশ হিসেবে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে জীবাণু অস্ত্রের ওপর সেখানে কাজ পরিচালিত হয়। মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিতে ডক্টরেট করেছেন ইসরায়েলের সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা।
ড্যানি শোহাম ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা শাখার জীবাণু এবং রাসায়নিক অস্ত্রের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।
এ অভিযোগ শুধু ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নয়, খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এমনটা বিশ্বাস করেন। ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, করোনাভাইরাস চীনের কাজ, তারাই দায়ী। এরপরই ট্রাম্পের সমর্থকেরা সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে জীবাণু অস্ত্র তৈরি করার অভিযোগ আনেন। ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিকান রাজনীতিক জোয়ান রাইট টুইট করে বলেছেন, ‘উহান ল্যাবরেটরিতে এই করোনাভাইরাস তৈরি করা হয়েছে এবং ওই গবেষণায় চীনাদের সহায়তা করেছেন বিল গেটস।’ পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে তিনি ওই টুইট ডিলিট করে দেন। যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর ডানপন্থী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে করোনাভাইরাস নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কোনো শেষ নেই।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলই নয়, খোদ বাংলাদেশে অনেকে বিশ্বাস করেন, করোনাভাইরাস চীন তৈরি করে ছেড়ে দিয়েছে। এতে চীনের দুটি লাভ। এক, হংকংয়ে বিক্ষোভ দমন করা। দুই, সারা দুনিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস করে চীনা পণ্য দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া। একই সঙ্গে সারা বিশ্বে চীনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি বড় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তাঁদের আলোচনার সারমর্ম ছিল, সারা দুনিয়ার ১৭৭টি দেশ চীনের বিরুদ্ধে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে মামলা করেছে। চীনারা খুব মেধাবী ও খারাপ। দুনিয়া দখল করার জন্য এই ভাইরাস তারা তাদের ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের সামরিক গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে চর্চা খুব জনপ্রিয়।
যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে চীন ও ইরান
চীন থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে এই প্রচার শুরু হওয়ার কিছুদিন পর পাল্টা প্রচার দেখা যায়। এবার অভিযোগ আনা হয় খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, চীনকে বিপাকে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রচার চীনের মানুষ বিশ্বাসই করে, চীনের বাইরে সারা দুনিয়ায় এই প্রচার বিশ্বাস করার মতো লোকের সংখ্যা কম নয়। এর মধ্য দিয়ে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাবও আঁচ করা যায়।
একজন চীনা কূটনীতিক তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সরাসরি ইঙ্গিত করেছেন, উহানে গত বছর অক্টোবর মাসে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি দল এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়িন টুইটারে মার্চের ১১ তারিখে মার্কিন কংগ্রেস কমিটির সামনে সে দেশের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) প্রধান রবার্ট রেডফিল্ডের সাক্ষ্যের ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন। ওই ফুটেজে রেডফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ইনফ্লুয়েঞ্জা-জনিত মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে বলছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯–এর কারণেই ওই মৃত্যু।
যদিও রেডফিল্ড বলেননি কখন ওই সব মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চীনা ওই কূটনীতিক টুইটারে ওই ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সিডিসি ধরা পড়ে গেছে। কখন প্রথম রোগীটি যুক্তরাষ্ট্রে মারা গিয়েছিল? কত মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল? কোন কোন হাসপাতালে? হতে পারে, যেসব মার্কিন সেনা উহানে ওই ভাইরাস এনেছিলেন, তাঁরাই স্বচ্ছ হোন। মানুষকে সত্য জানান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাই।’ ঝাওয়ের ওই টুইট চীনা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সিসিটিভিতে প্রচার হয়। গ্লোবাল টাইমসেও তা ছাপা হয়। এ তো গেল চীনের কূটনৈতিক ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ। দেশটির একাধিক বিজ্ঞানীর দাবি, করোনাভাইরাসের মহামারি চীনে শুরু হলেও এই ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে হয়নি।
শুধু চীন নয়, ইরানের সরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে দেশটির সাধারণ মানুষ পর্যন্ত দাবি করছেন, করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি জীবাণু অস্ত্র। ৫ মার্চ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চীনে এবং পরে ইরানের বিরুদ্ধে ‘জীবাণু অস্ত্রের সন্ত্রাসী হামলা’ চালিয়েছে। এর পরদিন ৬ মার্চ ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হেশমাতোল্লাহ ফাতালহাতপিশে বলেন, ‘ট্রাম্প ও পম্পেও করোনা নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন...। এটা কোনো সাধারণ রোগ নয়, এটা ইরান ও চীনের বিরুদ্ধে জীবাণু অস্ত্রের হামলা।’
এই প্রচারে ঘি ঢেলেছে গণমাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনা চীন ও ইরানের অভিযোগ রাশিয়ার গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। রাশিয়ার গণমাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য ব্রিটেনকেও দায়ী করা হচ্ছে। সরকার–সমর্থিত স্পুতনিক রেডিওতে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিটের পর বাজার খুলে দেওয়ার জন্য চীনকে বাধ্য করতে ব্রিটেন এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। দ্য বিগ গেম নামে রাশিয়ার একটি জনপ্রিয় টিভি টকশোতে ইগর নিকুলিন নামের রুশের একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য করোনা “অস্ত্র” তৈরি করেছ।’ তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের পোর্টান ডাউনে একটি গবেষণাগারে বহু দিন ধরেই নানা জীবাণু এবং রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে।
আর দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
রাশিয়ার গণমাধ্যমের এ রকম খবর প্রকাশের ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পর্যবেক্ষক দল ১৬ মার্চ পর্যন্ত দুই মাসের এক অনুসন্ধানে ৮০টি প্রমাণ পেয়েছে যে মস্কোর ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যম করোনাভাইরাস নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে রুশ সরকার দাবি করেছে, এসব বক্তব্যের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
জীবাণু অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ
জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে মানুষকে আক্রান্ত করার অভিযোগ পুরোনো। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০-৮১ সাল পর্যন্ত কিউবায় ডেঙ্গুজ্বরে কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। এ সময় কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ডেঙ্গুজ্বরকে যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু আক্রমণ বলে অভিযোগ করেছিলেন। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পোকামাকড়ের মাধ্যমে জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যালগিপ্টি মশার মাধ্যমে আফ্রিকায় ইয়েলো ফিভার ছড়ানো হয়। করোনার ক্ষেত্রে জীবাণু অস্ত্রের ধারণা একেবারেই বাতিল করে দেওয়া যায় না।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জীবাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগও বহু পুরোনো। দেশটির একটি সামরিক গবেষণাগারে এটি তৈরি হয়। ১৯৯২ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ইসরায়েলের একটি বিমান ধ্বংস হয়। তখন এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ওই ঘটনার ছয় বছর পর ১৯৯৮ সালের ২ অক্টোবরে নিউইয়র্ক টাইমস নেদারল্যান্ডস গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ই১ এ১ নামে কার্গো বিমানটি আমস্টারডামে ধ্বংস হয়, তাতে বিষাক্ত সারিন গ্যাস তৈরির কেমিক্যাল পাওয়া গেছে। শিফল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময় পর বিমানটি একটি বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪৩ জন নিহত হন। এরপর থেকেই ওই অঞ্চলের মানুষ শ্বাসকষ্ট, ত্বকের সমস্যাসহ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এ ঘটনায় গঠিত কমিটি ছয় বছর পর যে প্রতিবেদন দেয় তাতে জানা যায়, বিমানে ৫০ গ্যালন কেমিক্যাল ছিল, যা দিয়ে সারিন গ্যাস তৈরি করা হয়। এটি যাচ্ছিল ইসরায়েলের বায়োলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।
আসলেই কি করোনা গবেষণাগারে তৈরি
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত তিনজন বিখ্যাত গবেষকের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, এই ভাইরাস চীনের উহানের স্থানীয় পশুর মার্কেট থেকে ছড়িয়ে পড়েছে, এখন পর্যন্ত এটাই প্রমাণিত।
এসব বক্তব্য–বিবৃতি কাজে আসেনি। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন একদল বিজ্ঞানী মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘জীবজন্তুর শরীর থেকেই এই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শুধুই ভয়, গুজব ও ঘৃণা ছড়াবে, যাতে এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যাহত হবে।’ বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের যে জিন রহস্য (জীবন রহস্য), তা পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে, এটি গবেষণাগারে তৈরি কোনো ভাইরাস নয়। আর এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার অনির্ভরশীল সূত্র থেকে তথ্য নেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, বিবিসি বাংলা, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, লাইভ সায়েন্স, জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন