উনের মুখে প্রলেপ কিসের?

দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার নিউক মাস্ক বিক্রি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার নিউক মাস্ক বিক্রি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

দক্ষিণ কোরিয়ার ফ্যাশন ও প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ৫১৪৯ নিজেদের তৈরি ফেসিয়াল মাস্কের মডেল হিসেবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের ছবি ব্যবহার করেছে। ছবিতে উনকে ওই মাস্ক বা প্রলেপে হাসতে দেখা যায়। তবে উনকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করায় বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছে ৫১৪৯।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসিতে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ৫১৪৯ বলছে, গত জুন মাস থেকে তারা এ ধরনের ২৫ হাজারেরও বেশি ময়েশ্চার নিউক্লিয়ার মাস্ক বিক্রি করেছে। সমালোচনার পর মাস্ক বিক্রির আইনি বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক প্রতিষ্ঠান বিক্রি স্থগিত রেখেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সরকারের পক্ষে কিছু বলা অবৈধ। তবে এই আইনের প্রয়োগ সব সময় হয় না।

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কৌশলগত যুদ্ধ রয়েছে। তবে দুই দেশের নেতারাই এ বছর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মাস্কের মডেল হিসেবে উনের ছবি ব্যবহার করায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ৫১৪৯ বিতর্কের মুখে পড়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

৫১৪৯ এই মাস্কগুলোর নাম দিয়েছে—নিউক মাস্ক। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫১৪৯–এর প্রধান নির্বাহী কেওয়াক হাইওন জু বলেন, তিনি চেয়েছিলেন এ বছরের শুরুতে কোরিয়া সম্মেলনে এই মাস্কগুলো ব্যবহার করা হোক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কোরীয় এই মাস্ক পরে ছবি পোস্ট করেছেন। মাস্কের খরচ ৪ হাজার উয়ান। স্থানীয় গণমাধ্যমে সমালোচনার মুখে অনেক দোকান থেকে এসব মাস্ক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ত্বকবিশেষজ্ঞ ইরিন কিম সাউথ চীন মর্নিং পোস্টকে বলেন, আমি নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে প্রচার পছন্দ করি না। তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর আগে উত্তর কোরিয়া আমাদের দেশের জন্য বড় হুমকি ছিল। কিম জং–উনকে দেখা হতো অত্যাচারী স্বৈরশাসক হিসেবে। এখন তিনি জনপ্রিয় মাস্কের মডেল হয়ে উঠেছেন।

২০১১ সালে সাবেক স্বৈরশাসক কিম জং–ইলের মৃত্যুর পর থেকে কিম–জং উন উত্তর কোরিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার দলগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শাসনের সমালোচনা করেছে।