ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির রাজধানী তেহরানে আজ শুক্রবারের দোয়ায় নেতৃত্ব দেবেন। আট বছরের মধ্যে এই প্রথমবার তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করে ইরান। এতে কমপক্ষে ১৭৬ জন আরোহী নিহত হন। প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে ইরানের সাধারণ জনগণ। গত বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জাতীয় ঐক্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের মেহর সংবাদ সংস্থা বলছে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি (৮০) তেহরানের মোসাল্লা মসজিদে দোয়ায় নেতৃত্ব দেবেন। এই দোয়ার সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা জানানো হয়নি। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মেহর সংবাদ সংস্থা বলছে, ইরানিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার বিক্ষোভ করবেন।
তেহরানে ২০১২ সালে শুক্রবারের দোয়ায় সর্বশেষ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। সে সময় দেশটির ইসলামি বিপ্লবের ৩৩তম বার্ষিকী ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির মেহেদি খালাজি বলেন, তেহরানে শুক্রবারের দোয়া প্রতীকী অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ। ইরানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বার্তা দিতে চায়, তখনই এ ধরনের দোয়া করা হয়। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ইরানি নেতারা এ ধরনের দায়িত্ব ধর্মীয় নেতাদের ওপর অর্পণ করেন। কারণ তাঁদের বাচন দক্ষতা খুব ভালো থাকে।
ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় ইরানের কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, এ ঘটনার তদন্তকাজ বিশেষ আদালতে চলবে। পুরো বিশ্ব বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। রুহানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ শরিফ বলেছেন, ইরানিদের কয়েক দিন ধরে সত্য জানানো হয়নি। তবে সরকারকেও একরকম অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।
ইরানের সরকার নানামুখী চাপে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরানের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরান যে পরমাণু চুক্তি করেছিল, সেটিও ভেঙে পড়ার মুখে।
সরকার গত বছর পেট্রলের দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।