শিগগিরই ইরানের ‘এলিট বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত রিভলিউশনারি গার্ডকে (আইআরজিসি) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তিন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, প্রথমবারের মতো মার্কিন সরকার অন্য কোনো দেশের সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিতে যাচ্ছে।
সমালোচকদের আশঙ্কা, এই সিদ্ধান্ত আখেরে মার্কিন সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জন্য বুমেরাং হবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নাখোশ সরকারগুলো একই রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামী সোমবার সকালেই ঘোষণাটি দেবে বলে জানান কর্মকর্তারা। অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে বরং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিতে বলে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘে ইরানি মিশন তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তীব্র মাত্রায় ইরানবিদ্বেষী। তেহরানের প্রতি ট্রাম্প সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তন এনে কঠোর হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের বর্ষপূর্তির মাথায় আসছে নতুন এই ইরানবিরোধী ঘোষণা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তি বাতিল করেন। এরপর নতুন করে ইরানের ওপর অবরোধ জারি করেন। এই অবরোধ ইরানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথমবারের মতো প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত জানায়। এর আগে অবশ্য আইআরজিসির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে ইতিমধ্যে ডজনখানেক ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পুরো আইআরজিসিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
আইআরজিসির কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জাফারি ২০১৭ সালে এক সতর্ক বার্তায় বলেন, ট্রাম্প যদি এলিট ফোর্সের ব্যাপারে এ ধরনের ধারণা পোষণ করেন, তবে ‘আইআরজিসি দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মার্কিন সেনাবাহিনীকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) হিসেবে বিবেচনা করবে।’