পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমনটাই আভাস দিয়েছে। ইমরান খানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খবর ডনের।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ প্রস্তাব নিয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। বিধি অনুযায়ী, প্রস্তাব উত্থাপনের পর আলোচনা শুরু করতে ন্যূনতম তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় নেওয়া যায়।
এর মধ্যেই আজ শুক্রবার এক টুইটার পোস্টে ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেন, ইমরান খান হত্যার হুমকিতে আছেন বলে তাঁদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে। তিনি লিখেছেন, ‘এ খবর পাওয়ার পর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
এদিকে নানামুখী চাপের মুখে পড়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এর আগে তিনি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার এ প্রচেষ্টাকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন ইমরান। এর প্রমাণ হিসেবে একটি হুমকিমূলক চিঠি পাওয়ার দাবি করেন তিনি। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাষণে চিঠির বিষয়ে বলতে গিয়ে ইমরান ‘মুখ ফসকে’ যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলে দেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা তিনি শুধরে নেন। পরে বলেন, একটি বিদেশি রাষ্ট্র হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, যা পাকিস্তানবিরোধী।
সম্প্রতি পিটিআই নেতা ফয়সাল ভাওদাও একই রকমের অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনিও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশকে বিক্রি করে দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।