ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের ফেরিডুবির কূলকিনারা না হতেই দেশটিতে আবারও ফেরিডুবির ঘটনা ঘটল। এবার জাভা দ্বীপের উত্তরে সুলাউইসি দ্বীপের উপকূল থেকে ৩০০ মিটার দূরে গতকাল মঙ্গলবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ৪১ জন। ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে এএফপির খবরে বলা হয়।
ডুবে যাওয়া ফেরিটির নাম কেএম লেসতারি। এতে প্রায় ১৪০ জন যাত্রী ও বেশ কয়েকটি যানবাহন ছিল। ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ফেরি সুলাউইসি থেকে কাছের সেলায়ার দ্বীপে যাচ্ছিল।
প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ফেরির ডেকে থাকা ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন ভেসে গেছে। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, ফেরিটির এক পাশ ডুবে যাওয়ার সময় যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরে অপর পাশে ঝুলে ছিল।
প্রচণ্ড বাতাস ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পরপরই পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, মাছ ধরার নৌকাসহ ছোট ছোট নৌকার বহর ভেসে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে বড় নৌযান যেতে পারছে না। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বেশির ভাগ যাত্রীর গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।
দুই সপ্তাহ আগে সুমাত্রা দ্বীপে তোবা লেকে ফেরিডুবির ঘটনায় ১৬০ জনকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গতকালই সেই ঘটনার উদ্ধারকাজে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। আর গতকালই জাভা দ্বীপে নতুন করে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল।
ফেরিটি বেশ কয়েকটি যান পার করছিল, যখন পানি উঠে এটি ডুবে যেতে শুরু করে। পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ফেরিটি উপকূলের খুব কাছে ছিল এবং উদ্ধারকাজে সুবিধার জন্য ক্যাপ্টেন এটিকে প্রবালপ্রাচীরে তুলে দেন।
গতকাল টেলিভিশনের ছবিতে দেখা যায়, বেশ কিছু যাত্রী উল্টানো যানটি ধরে ঝুলে আছে, নয়তো লাইফ জ্যাকেট পরে পানিতে ভাসছে।