যুক্তরাষ্ট্রের সুরে সুর মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ ইতিমধ্যে কার্যকরভাবে শুরু হয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণমাত্রায় হামলা হতে পারে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের লাইভে এ তথ্য জানানো হয়।
‘বিনা প্ররোচনায়’ ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
মরিসন বলেন, রাশিয়া এখন ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটতে পারে। গোলাবর্ষণের মতো ঘটনা ইতিমধ্যে শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর বিরোধিতার জন্য উদার গণতন্ত্রকে এক জোট হতে হবে।
মরিসন জানিয়েছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
অস্ট্রেলিয়ার এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবে ব্যাংক, পরিবহন, জ্বালানি, তেল, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ খাত।
মরিসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে, যারা বিশ্বাস করে যে রাশিয়া তার প্রতিবেশীকে আক্রমণ করতে পারে, যা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য, তারা একত্রে রাশিয়ার বিপক্ষে দাঁড়াব।’
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রাশিয়ার আট ব্যক্তি ওপর পড়তে পারে।
ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে গত সোমবার স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি রুশ সেনা পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান উত্তেজনার মধ্যে পুতিনের এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
পুতিনের পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে রাশিয়ার ওপর স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।